চিয়া সিড বা চিয়া বীজ দেখতে ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর এক সুপারফুড। দক্ষিণ আমেরিকার এই বীজ এখন সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্রিয় খাবার। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রন যা শরীরের শক্তি বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ
মাত্র ২ টেবিল চামচ চিয়া সিডে থাকে
- প্রোটিন ৪ গ্রাম
- ফাইবার ১১ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ১৮ শতাংশ
- আয়রন ১৪ শতাংশ
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ৫ গ্রাম
এছাড়া এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ও ফসফরাস যা শরীরের দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ করে।
চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা
হজমে সহায়ক
চিয়া সিডে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি পেট দীর্ঘ সময় ভরিয়ে রাখে ফলে অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার প্রবণতা কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
চিয়া সিড পানি শোষণ করে ফুলে ওঠে এবং পেট ভরা অনুভূতি দেয়। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি উপকারী।
হার্টের যত্নে
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যে
চিয়া সিডের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে বার্ধক্যজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং চুলের গোড়া মজবুত রাখে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
চিয়া সিড রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে বাড়তে দেয় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ চিয়া সিড হাড়ের গঠন শক্ত করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
চিয়া সিড খাওয়ার সেরা উপায়
- ১ টেবিল চামচ চিয়া সিড পানি বা দুধে ২০ মিনিট ভিজিয়ে পান করুন
- স্মুদি, দই, সালাদ বা ওটসে মিশিয়ে খাওয়া যায়
- সকালে নাশতায় বা বিকেলের পানীয়তে মিশিয়ে খেলে শক্তি বাড়ায়
সতর্কতা
চিয়া সিড একসঙ্গে বেশি খেলে পেট ফেঁপে যেতে পারে তাই প্রথমে অল্প পরিমাণে শুরু করা উচিত এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা দরকার।
চিয়া সিড হলো আধুনিক জীবনের প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। ছোট এই বীজ শরীরকে দেয় ভেতর থেকে শক্তি, মনোযোগ ও সৌন্দর্য। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি যোগ করলে জীবনে আসবে নতুন প্রাণশক্তি ও ভারসাম্য।





