ডুমুর বা ফিগ এমন এক ফল যা ছোট দেখতে হলেও গুণে অসাধারণ। প্রাচীনকাল থেকেই এই ফলকে বলা হয় “প্রাকৃতিক ওষুধ”। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক ফাইবার যা শরীরকে রাখে সুস্থ ও সক্রিয়। শুকনো বা কাঁচা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ডুমুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
ডুমুরের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ডুমুরে পাওয়া যায়
- ফাইবার প্রায় ৩ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৩৫ মিলিগ্রাম
- আয়রন ০.৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন কে
- প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষ রক্ষা করে
এই উপাদানগুলো শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডুমুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা
হজমে সহায়তা করে
ডুমুরে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত ২ থেকে ৩টি শুকনো ডুমুর খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডুমুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
হাড় মজবুত করে
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুর হাড়ের গঠন শক্ত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
রক্তে আয়রন বাড়ায়
ডুমুর রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে কারণ এতে আয়রনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য।
ত্বক ও চুলের যত্নে
ডুমুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে, চুল পড়া কমায় এবং ত্বকে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় দেখা গেছে ডুমুরের পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ডুমুর খাওয়ার সেরা উপায়
- সকালে খালি পেটে ২টি শুকনো ডুমুর পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী
- সালাদ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি আরও সুস্বাদু হয়
- শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি প্রাকৃতিক এনার্জি ফুড হিসেবে চমৎকার
সতর্কতা
অতিরিক্ত ডুমুর খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে তাই ডায়াবেটিক রোগীরা পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখবেন।
ডুমুর এমন এক ফল যা একসঙ্গে দেয় শক্তি পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ। নিয়মিত ডুমুর খেলে শরীর থাকে হালকা মন থাকে ভালো এবং স্বাস্থ্য থাকে সজীব।





