বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা-প্রতিদিনের খাবারে রঙ আর শক্তির জাদু

বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা – প্রতিদিনের খাবারে রঙ আর শক্তির জাদু

বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা: বিটরুট শুধু এক টুকরো লাল সবজি নয় এটি এক প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। এতে রয়েছে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ভিটামিন সি পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে এবং চেহারায় আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

. রক্ত বৃদ্ধি শক্তি যোগায়

বিটরুটে থাকা আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। অ্যানিমিয়া বা দুর্বলতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি দারুণ উপকারী। এছাড়া এর প্রাকৃতিক চিনি শরীরে শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে।

. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

বিটরুটে থাকা নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে যা রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা মানুষদের জন্য এটি এক প্রাকৃতিক প্রতিষেধক।

. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা

বিটরুটে থাকা বিটেইন কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত বিট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

. লিভার পরিষ্কার রাখে

বিটরুট শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে এবং লিভারের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।

. উজ্জ্বল ত্বক ঘন চুলের জন্য

বিটরুটের ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও চুল ঝলমলে।

. হজম পেটের যত্নে

বিটরুটে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখে।

. মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে

গবেষণায় দেখা গেছে বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় যা মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সজনিত মানসিক দুর্বলতা কমাতে এটি কার্যকর।

কীভাবে খাবেন

বিটরুট সালাদ ,জুস বা স্মুদিতে খাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে আধা গ্লাস বিটরুট জুস শরীরে শক্তি যোগায় এবং সারা দিন সতেজ রাখে।

 

    Scroll to Top