সঠিক ভিটামিন গ্রহণে প্রতিরোধ করা যায় চোখের প্রাথমিক দৃষ্টিশক্তি হ্রাস?

Doctor Pori Food Featured Image 2 1

শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব হলে চোখের প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে রাতে দেখতে অসুবিধা, আলোতে সংবেদনশীলতা বা চোখে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। চোখ ঝাপসা দেখা, আলোয় ব্যথা অনুভব করা বা চোখে জ্বালাপোড়া সবকিছুই ইঙ্গিত দেয় যে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি হয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন এ।

চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। এটি চোখের রেটিনাল কোষকে সক্রিয় রাখে, আলো শোষণক্ষমতা বাড়ায় এবং কর্নিয়া ও কনজাংকটিভার আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ এর ঘাটতি হলে চোখ শুকিয়ে যায়, জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং সময়ের সঙ্গে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘাটতি থাকলে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং স্থায়ী অন্ধত্ব পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই চোখ সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে না থাকা, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

ভিটামিন এ এর ঘাটতির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে রাতে বা অন্ধকারে ঠিকমতো দেখতে না পারা, চোখে শুষ্কতা বা চুলকানি, আলোয় অস্বস্তি, চোখের সাদা অংশে ধূসর দাগ এবং ঘন ঘন চোখে ইনফেকশন হওয়া।

এই সমস্যা মোকাবিলায় নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। দৈনন্দিন খাবারে এমন উপাদান রাখতে হবে যা ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ করবে এবং দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।

চলুন জেনে নিই কোন খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত

প্রথমেই রাখুন সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, মেথি পাতা ও লাল শাক। এগুলো শুধু ভিটামিন এ নয়, চোখের স্নায়ুকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর। এছাড়া গাজর খেতে হবে নিয়মিত, কারণ গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। প্রতিদিন এক বাটি গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।

একইভাবে দুধ, ডিম ও মাছ নিয়মিত খেতে হবে। দুধ, ডিমের কুসুম ও মাছ ভিটামিন এ এর ভালো উৎস। এগুলো চোখের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নেয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি আলু ও কুমড়া। এই সবজিগুলোর উজ্জ্বল রং আসে বিটা ক্যারোটিন থেকে, যা চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

Scroll to Top