৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা একটু কমতে পারে এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কিছু বিশেষ মসলাযুক্ত ও হরবাল উপাদান রেখে নিজেকে শক্তিশালী রাখা সম্ভব। নিচে এমন কিছু উপাদান ও প্রয়োগ দেওয়া হলো যেগুলো নিয়মিত খাদ্যের সঙ্গে যুক্ত করলে সহায়ক হতে পারে।
১ হলুদ
- হলুদতে রয়েছে “কুরকুমিন” নামে সক্রিয় যৌগ যা প্রদাহ কমাতে ও শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা গঠন করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন রান্নায় সামান্য করে হলুদ ব্যবহার করা ভালো।
২ আদা ও রসুন
- আদায় রয়েছে প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডান্ট উপাদান যা কোষ রক্ষায় সহায়ক।
- রসুনের সক্রিয় যৌগ অ্যালিসিন রোগপ্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
- কাঁচা বা সেদ্ধ করে খাবারের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
৩ এলাচ ও দারুচিনি
- এলাচ ও দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার উপাদান।
- শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও রক্ত চিনি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কফি বা চা-র সঙ্গে এক-দুটি এলাচ বা সামান্য দারুচিনি দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
৪ অন্যান্য হরবাল ও মসলাযুক্ত উপাদান
- ওরেগানো, রোজমেরি, থাইমের মতো গরেষণা প্রমাণিত মসলায় রয়েছে প্রদাহ হ্রাসকারী ও অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল কার্যকলাপ।
- গ্রিন টি-র মতো পানীয়তে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট বুস্টার রয়েছে যা প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
- নিয়মিত শাকসবজি ও ফলের সঙ্গে এসব মসলাযুক্ত উপাদান যুক্ত করা ভালো।
৫ প্রয়োগ ও সতর্কতা
- প্রতিদিন একটু একটু করে এসব মসলাযুক্ত উপাদান রান্নায় যুক্ত করুন যাতে অভ্যাস হয়ে যায়।
- কোনো নতুন মসলাযুক্ত বা হরবাল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন, বিশেষ করে যদি কোনো ওষুধ নিয়ে থাকেন।
- মসলার মাত্রা খুব বেশী হলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাস্টিক সমস্যা বা এলার্জি হতে পারে।
৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়া বয়সেও স্বাস্থ্য রক্ষায়, রোগ প্রতিরোধে এবং শক্তিশালী জীবনের জন্য মসলাযুক্ত ও হরবাল উপাদানগুলো খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অভ্যাসগতভাবে রান্নায় হলুদ, আদা, রসুন, এলাচ, দারুচিনি এবং অন্যান্য হরবাল যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে আরও সুস্থ ও প্রতিরোধক্ষম করে তুলতে পারবেন। একান্তই মনে রাখবেন—এই উপাদানগুলো একমাত্র দাওয়াই নয়, তবে জীবনের অংশ হিসেবে থাকলে আপনার দিনগুলো আরও প্রাণবন্ত ও সজীব হবে।





