শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক ৩টি খাবার

শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক ৩টি খাবার 1

অনেক সময় দেখা যায়, শিশুদের বেড়ে ওঠা বয়স অনুযায়ী ঠিকভাবে হয় না। এ নিয়ে বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এমন সময়ে অনেকেই বাজারে পাওয়া বিভিন্ন হেলথ ড্রিংক বা সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর করেন, কিন্তু এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রায়ই সন্দেহ থাকে। প্রকৃতপক্ষে, ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক খাবারই শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উচ্চতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে।

শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধির আদর্শ সময় হলো তিন থেকে বারো বছর বয়সের মধ্যে। এই সময় তাদের খাবারে পূর্ণ পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে হবে, কারণ এই সময়ের যত্নই ভবিষ্যতের শরীরের গঠন নির্ধারণ করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে, হাড় মজবুত হয় এবং শরীরের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন তিনটি খাবার শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

১. দুধ
 অনেক শিশু দুধ খেতে পছন্দ করে না, কিন্তু বেড়ে ওঠার সময় নিয়মিত দুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাঁটি গরুর দুধ, অর্থাৎ প্যাকেটজাত নয়, শিশুর জন্য সবচেয়ে উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ, যা হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে এবং শরীরের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

২. ডিম
 ডিম হলো আয়রন, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ এক সম্পূর্ণ খাবার, যা শিশুর শারীরিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডিমে থাকা প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড হাড় ও পেশির বৃদ্ধি বাড়ায়, ফলে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন শিশুর পছন্দ অনুযায়ী সিদ্ধ বা পোচ করা ডিম খাওয়ানো যেতে পারে।

৩. মাছ
 সব বয়সের মানুষের জন্য মাছ উপকারী, তবে শিশুদের জন্য এটি বিশেষভাবে দরকারি। মাছের মধ্যে থাকা আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। রুই, কাতলা বা ছোট মাছের মতো দেশি মাছ নিয়মিত খাওয়ালে শিশুদের হাড় ও পেশি মজবুত হয়।

শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত শারীরিক সক্রিয়তা। সঠিক খাবারের অভ্যাস গড়ে তুললে শিশুর বৃদ্ধি হবে প্রাকৃতিক ও সুস্থভাবে।

Scroll to Top